ব্যবসায়ে নৈতিকতা

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র | NCTB BOOK

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে উচিত-অনুচিত মেনে চলা বা ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করে চলাই হলো ব্যবসায়ের নৈতিকতা। ব্যবসায় সমাজ বিজ্ঞানের একটা গুরুত্বপূর্ণ শাখা হওয়ায় এক্ষেত্রে নৈতিকতার বিষয়টি অধিক তাৎপর্যপূর্ণ । ব্যবসায় সমাজের মানুষের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপজীবিকা । মানুষ তার প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার জন্য ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভরশীল । তাই ব্যবসায়ী যদি উচিত-অনুচিত না মানে, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য ভুলে যায়, অস্বাস্থ্যকর পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করে, পরিবেশ দূষণ করে মূল্যবোধ হারায় তখন ঐ সমাজে ব্যবসায় নামক পেশার সম্মান ও মর্যাদা যেমনি থাকে না তেমনি সাধারণ মানুষও প্রতারিত হতে হতে ভালো-মন্দ জ্ঞান হারাতে থাকে । যা ঐ সমাজে অনৈতিক সংস্কৃতির জন্ম দেয় । তাই ব্যবসায় পরিচালনায় কথা-বার্তা, আচার-আচরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনার সকল পর্যায়ে নৈতিক মানদণ্ড মেনে চলাকেই ব্যবসায়ে নৈতিকতা নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে । নিম্নে ব্যবসায়ে নৈতিকতার কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো:

পালনীয় বিষয়বর্জনীয় বিষয়

১. বৈধ উপায়ে ব্যবসায় চালানো;

২. সকল ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখা ও নির্ভরতার গুণ অর্জন করা;

৩. শ্রমিক-কর্মীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা;

৪. সকলের পাওনা যথাসময়ে পরিশোধ করা;

৫. প্রতিষ্ঠানের বাইরে বিভিন্ন পক্ষের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করা;

৬. স্বগোত্রীয় ব্যবসায়ীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা;

৭. পরিবেশ রক্ষায় সাধ্যমতো ভূমিকা রাখা;

৮. সরকারি নিয়ম-রীতি মেনে চলা;

৯. আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা; ইত্যাদি 

১. প্রতারণা, শঠতা ও ধোকাবাজির আশ্রয় গ্রহণ না করা;

২. ক্ষতিকর ও বেআইনি পণ্য উৎপাদন বা বিক্রয় না করা;

৩. বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করা;

৪. একচেটিয়া প্রবণতা পরিহার করা;

৫. মাপে কম না দেয়া;

৬. ক্ষতিকর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হওয়া;

৭. কর ও রাজস্ব ফাঁকি না দেয়া;

৮. আইন মেনে চলা; ইত্যাদি

Content added By
Promotion